এমন কিছু আচরণ বা কাজ যা মানুষকে হীন, নিচু ও নিন্দনীয় করে তোলে, সেগুলোকে আখলাকে যামিমাহ্ বা নিন্দনীয় আচরণ বলে। নিন্দনীয় আচরণগুলো হচ্ছে হিংসা, ক্রোধ, লোভ, প্রতারণা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, ইভটিজিং, ছিনতাই প্রভৃতি। এ নিন্দনীয় আচরণগুলো মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনকে কলুষিত করে। এ চরিত্রের অধিকারীকে মানুষ ঘৃণা করে। ইহকাল ও পরকালে সে ঘৃণিত ও অভিশপ্ত হবে। জাহান্নামের নিম্নস্তরে পৌঁছে যাবে। (তাবারানি)
আখলাকে যামিমাত্র কুফল
১. ঘৃণার পাত্র
হীন বা মন্দ চরিত্রের লোকেরা সমাজের কাছে যেমনিভাবে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়, তেমনিভাবে পরিবারের কাছেও ঘৃণিত হয়। পরকালেও সে ঘৃণিত ও অভিশপ্ত হবে। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেন, 'বান্দা তার কুচরিত্রের কারণে জাহান্নামের নিম্নস্তরে পৌঁছে যাবে।' (তাবারানি)
২. জান্নাত থেকে বঞ্চিত
মন্দ চরিত্রের লোকেরা পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেন,
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَاظُ وَلَا الْجَعْظَرِي
অর্থ: 'দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।' (আবু দাউদ)
চরিত্র সংশোধন ব্যতীত আত্মার সংশোধন সম্ভব হয় না। এজন্য চারিত্রিক দুর্বলতার সব দিকগুলোর সংশোধন করা আবশ্যক।
দলগত কাজ: শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অসদাচরণের কুফলগুলোর একটি তালিকা তৈরি করবে। |
Read more